নিউজসুপার,কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ :
শিয়ালদহের পার্সেল অফিস দক্ষতার সাথে পার্সেল ট্র্যাফিক পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসা, বাণিজ্য এবং ব্যক্তিগত লেনদেন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে দীর্ঘ সময় ধরে। শিয়ালদহ ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন যেখানে প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৫ লক্ষ মানুষ চলাচল করে – তাই শিয়ালদহ পার্সেল অফিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত পার্সেল ট্র্যাফিক পরিচালনা করে চলেছে নিরন্তরভাবে। পার্সেল গ্রহণের পর পার্সেল বাছাই, লেবেলিং এবং লোড করার দায়িত্ব পালন করতে হয় এই অফিসকেই। ট্রেনে পার্সেল লোডিং এবং আনলোডিং পরিচালনাও এই অফিসই করে থাকে। সংক্ষেপে, পার্সেল অফিস/শিয়ালদহ বিপুল সংখ্যক পার্সেল – নিরাপদ হেফাজত, বিতরণ এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য ২৪ ঘন্টা CCTV ক্যামেরার নজরদারির অধীনে সদা তৎপর।
পূর্ব রেলওয়েতে ২০২৪ সনে তিন মাসের সতর্কতা সচেতনতা অভিযান এর অংশ হিসাবে, পূর্ব রেলওয়ের ভিজিল্যান্স বিভাগের তত্ত্বাবধানে, আজ (11.09.24) শিয়ালদহ পার্সেল অফিসে সচেতনতা সংক্রান্ত একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আজকের এই সেমিনারের মূল উপজীব্য ছিল *”রাষ্ট্রের সমৃদ্ধির জন্য সততার সংস্কৃতি”*। ক্যাম্পেনের উদ্দেশ্য ছিল পার্সেল অফিস/শিয়ালদহে নিয়োজিত রেলওয়ে কর্মচারীদের মধ্যে সতর্কতা এবং সততার মূল্যবোধ প্রচার করা। সেমিনারে ভিজিলেন্স দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন এবং দুর্নীতি নির্মূলের গুরুত্ব সম্পর্কে উপস্থিত কর্মচারীদের অবহিত করেন। তারা ব্যাখ্যা করেন – কীভাবে দুর্নীতি রেল ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে পারে এবং একই সাথে রেল ব্যবহারকারীদের মধ্যে রেল সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব জাগাতে পারে।
সেমিনারটির পরে একটি প্রশ্ন উত্তর পর্ব আয়োজন করা হয় যেখানে, কর্মীরা সতর্কতা ও সততা সম্পর্কিত বিষয়গুলি গভীরভাবে আলোচনা করার সুযোগ পান। এই প্রচারাভিযান রেলওয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং সততা নিশ্চিত করার জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় পদক্ষেপ। উপস্থিত কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং অনুকরণীয় সততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়। পার্সেল অফিস/শিয়ালদহে কর্মরত কর্মীদের জন্য এই সেমিনার এবং পরবর্তী প্রশ্নোত্তর পর্বটি সত্যিই অতি প্রয়োজনীয় এবং জ্ঞানবর্ধক ছিল।