নিউজসুপার,তানিয়া কুন্ডু : – স্বামী বিবেকানন্দ একটি কথা বলেছিলেন যে আজও অবিচল “তোমার সামনে যদি কোনো একজন ক্ষুধার্ত এসে দাঁড়ায় তাকে তুমি পেট ভরে ভোজন দিয়ে তার ক্ষুধা মেটাও তোমাকে ১০০ জনের ক্ষুধা মিটাতে যেতে হবে না”
আজ যেন সেই কথাটি সত্যি হল।
যেখানে গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছে কোভিড ১৯ যেখানে শত শত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই মারণ ভাইরাস,সেখানে দাঁড়িয়ে এই লকডাউন এ যেন এক অসামঞ্জস্য পরিস্থিতি।
তার মধ্যে দাঁড়িয়ে গরিবের চাপা আর্তনাদ,কান্না যেন আরো বাড়াচ্ছে অস্বস্তি।
আজ হালিশহর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড ,যুবকের নাম সৌরভ সরকার কিছু মাস আগেই সৌরভ তার পিতাকে হারায় ঘরে ছোট ভাই ও মা আছেন।সৌরভ একটি রড স্টীলের দোকানে কাজ করে তার সংসার চালায় ,বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের পুরু দায়িত্ব তারই কাঁধে।
যখন করোনার এরকম অসম পরিস্থিতি তার মধ্যে লকডাউন দিন আনি দিন খাওয়া মানুষের পাশে সাহায্য এগিয়ে আসল সৌরভ।
সৌরভের এই উদ্যোগ তার কাজ করে কিছু উপার্জিত অর্জন ও তার কিছু বন্ধু বান্ধবদের সহযোগিতা নিয়ে আজ ৭ নং ওয়ার্ডের কিছু নিতান্তই দরিদ্র পরিবারের হাতে চাল,আলু সাবান তুলে দেয়।
সৌরভ ও তার সহযোগীরা জানায় ,” আমাদের আজকের এই উদ্যোগ আমরা এই দুরবস্থায় চাইছি অন্তত কোনোপ্রকারীয় মানুষ গুলোর পাশে থাকতে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে,আমরা চাই আমাদের মতো অন্যান্যরাও যেন এগিয়ে আসে”।
আজকে সৌরভের মত এরকম অজস্র মানুষেরা যুবক যুবতীরা এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে এই করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতিতে।
তৎসত্ত্বেও একটা কথা না বললেই নয় এই করোনা মোকাবিলায় যেভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের সরকার,পুলিশ,চিকিৎসক সাংবাদিক অবশ্যই কিছু সচেতন মানুষ যেভাবে এই করোনা মোকাবিলায় একসঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন ,সেক্ষেত্রে আমরা একেবারেই সিদ্ধহস্ত এই করোনা নামক মারণ ভাইরাসকে আমরা হারিয়েই ছাড়ব ।