নিউজসুপার : – এবারের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটি একেবারে সবাইকে চমকে দেওয়ার মতো ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের রেজাল্ট হয়েছে।
বিশেষত ব্যারাকপুর বেল্ট একদিকে ঘোষিত সেরা সাংসদ দুবারের জয়ী সাংসদ তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী অপরদিকে দাপুটে নেতা অর্জুন সিং বিজেপির তরফ থেকে।ব্যালট বাক্সের দুজনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষমেশ জয়ী হলেন অর্জুন সিং।
একেবারেই নিরাশ তৃণমূল কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নেতৃবৃন্দ সকলেই।
তারপরই সমগ্র কাঁচরাপাড়া,হালিশহর, নৈহাটি সকল তৃণমূল কার্যালয় রাতারাতি বিজেপির দখলে।প্রায়ই কাউন্সিলরদের যোগদান বিজেপিতে।
কিন্তু সেই পর্দারও যবনিকা পরে গেল।
যখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কাঁচরাপাড়ায় একটি জনসভায় উপস্থিত হয়ে সুবোধ অধিকারীকে দলের সাধারণ সম্পাদক ও অবজার্ভর বলে ঘোষণা করে গেলেন,তারপর থেকেই শুরু হল নয় মোড় নয়া চমক।
কদিন যেতে না যেতেই বিজেপিতে যোগদান কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানদের পুনরায় তৃণমূলে পদার্পন।পাশাপাশি তৃণমূলের কার্যালয় গুলি যেগুলি গেরুয়া রঙে রাঙ্গায়িত হয়েছিল সেগুলি আবার সবুজে রঙিন হয়ে উঠল।
পাশাপাশি জোর কদমে গোটা বীজপুর জুড়ে সুবোধ অধিকারীর নেতৃত্বে বা বলা যায় তাকে সামনে রেখে চলছে ‘ দিদিকে বলো ‘ কর্মসূচি।
পাশাপাশি আজ নৈহাটি ও গারুলিয়া সহ প্রায় ২৩ জন কাউন্সিলর যারা বিজেপিতে ছিলেন পুনরায় যোগদান তৃণমূলে।
আজ তৃণমূল দলের কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আজকের যবনিকার পর্দা উন্মোচন করলেন।
গোটা বিষয়বস্তুর নেতৃত্বাধীন ছিলেন সুবোধ অধিকারী। এছাড়াও পাশাপাশি দেখা যায় নৈহাটির বিধায়ক ও নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকেও।
একথা বলাই বাহুল্য গোটা বীজপুর জুড়ে এখন চলছে সুবোধ অধিকারীর ম্যাজিক স্ট্র্যাটেজি।